স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সঞ্জয় চন্দ্র নামে এক আওয়ামী লীগের নেতা। তিনি মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট থানা আওয়ামী লীগেরসহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা সঞ্জয় চন্দ্র বলেন, এমপি পঙ্কজ নাথের ভাই মনোজ কুমার নাথের স্ত্রী কল্যানী দেবনাথ ও বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. জলিল মিয়াসহ ৪১ জনকে আসামি করে বরিশাল স্পেশাল জজ আদালতে চলতি বছরের ৫ই মার্চ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এমপি পঙ্কজ নাথ এই মামলার জের ধরে আমাকে দুই বার হত্যার চেষ্টা করেন। ২০ এপ্রিল প্রথম ঘটনার দিনে আমাকে পিটিয়ে পঙ্গু করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে একটি ছিনতাই মামলা করেন। এরপর লুট, চাঁদাবাজী, নারী নির্যাতনসহ মোট ৫টি মামলা দায়ের করানো হয় আমার বিরুদ্ধে। এতে বিনা অপরাধে ৫৮দিন আমি জেল হাজতে ছিলাম। পরে ১২জুন রাতে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নতুন ডাক বাংলার সাথে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। আমাকে পুনরায় মারধর করে মাসকাটা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এই ঘটনায় আমি একটি মামলাও দায়ের করি। এমপি পঙ্কজনাথকে দূর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে সঞ্জয় চন্দ্র বলেন, তিনি জামাত শিবির লালন পালন করে এলাকায় সাধারন মানুষকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মামলা ও হত্যা করার হুমকী প্রদান করেন। আমি অন্যায়ের সাথে আপোস না করায় আজ আমার এই অবস্থা। সঞ্জয় বলেন, উপজেলার উত্তর রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৯ সালের ৪ জুন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মাধ্যমে বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. জলিল মিয়া সুবর্না আক্তার ও মো. কাওসারকে নিয়োগ দেন। এছাড়া এমপি পঙ্কজ নাথ তার ডিও লেটারের মাধ্যমে ১৮ জন অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ দেয়। তাদের কাছ থেকে কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি ৫৫ জন দপ্তরি নিয়োগ দিয়েও কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমানে সঞ্জয় ও তার পরিবারসহ মামলার স্বাক্ষীরা পঙ্কজনাথসহ তার ক্যাডার বাহিনীর অব্যাহত হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। এব্যাপারে সঞ্জয় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি (মন্ত্রী) আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সুদৃষ্টি কামনা করেন। এসময় সঞ্জয়ের সাথে ছিলেন তার অসহায় মাতা শোভারানী।
আমি এসব ঘটনা আদৌ কিছু জানিনা না উল্লেখ করে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ বলেন, একটি কুচক্রিমহল আমার বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে। আমি আমার এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি তাতে এই চক্রটি উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
Leave a Reply